Latest Post


কম্পিউটার, মোবাইলফোন, স্মার্টওয়াচ বা এই টাইপের ডিভাইসগুলো আমরা হরহামেশাই ইউজ করে থাকি। কিন্তু কখনো কি খেয়াল করেছেন এগুলো চলে কিভাবে? আসলে আমাদের এই নিত্যপ্রয়োজনীয় ডিভাইসগুলো নিতান্তই জড়বস্তু। যখন এই জড়বস্তুগুলোর মাঝে প্রাণের সঞ্চার করা হয় তখনি এই ডিভাইসগুলো আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাড়ায়। "প্রাণের সঞ্চার" কথাটা শুনে আপনাদের কাছে খিটবিটে লাগতে পারে, আমি আসলে অপারেটিং সিস্টেমের কথাই বলছি।
অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি জিনিস যা এই জড়বস্তুগুলোকে ব্যাবহারযোগ্য করে তোলে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই তাদের কম্পিউটারে 'উইন্ডোজ' ব্যাবহার করেন অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে। উইন্ডজের বিকল্প কিছুর অস্তিত্ব যে আছে, তা অনেকেই জানেন না। হ্যা, বলছি লিনাক্সের কথা। কম্পিউটার ব্যাবহারকারীগণের মধ্যে বিরাট একটা অংশ, 'লিনাক্স' শব্দটাই হয়তো শোনেননি। কেউ কেউ শুনেছেন কিন্তু ইহা আসলে কি জিনিস তা জানেননা। কেউকেউ লিনাক্স শুনলেই মনে করেন 'উবুন্টু'র কথা। আসলে লিনাক্স মানে উবুন্টু না, উবুন্টু লিনাক্সের একটা অপারেটিং সিস্টেম মাত্র! (এরকম আরো ৫৫০ টি অপারেটিং সিস্টেম আছে) আবার একটা অংশ মনে করে লিনাক্স বোধহয় ব্যাপক কঠিন একটা জিনিস! এটা ব্যাবহার করতে গেলে বিশাল বড় প্রোগ্রামার হতে হবে, কিবোর্ডে খটাখট শব্দ করে কোড লিখা জানতে হবে! আসলে এসবই ভূল ধারণা। লিনাক্স ইউজ করার জন্যে আপনাকে কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট হতে হবেনা। সাধারণ কম্পিউটার ব্যাবহার কারী হিসেবে কেন আপনারও লিনাক্স ব্যাবহার করা উচিৎ, সেটাই লিখতে বসলাম আজকে। আজ থেকে প্রায় ২৮ বছর আগে লিনাস টরভাল্ডস নামের ফিনল্যান্ডের একজন উদাসমনা ভদ্রলোক এই 'লিনাক্স' জিনিসটা তৈরী করেছিলেন তার ইউনিভার্সিটির প্রজেক্টটা ঠিকঠাকমতো শেষ করবার জন্যে। যাইহোক, সেই কাহিনী আমরা অন্যদিন শুনবো! সেসময় কম্পিউটারগুলো চলত 'UNIX' অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করে। এই ইউনিক্সের সোর্সকোড জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত ছিলোনা। মানে হচ্ছে ডেভেলপাররা কিভাবে এই জিনিসটি বানিয়েছেন তার কোড কেউ জানত না, জানার সুযোগও ছিলোনা! কিন্তু বেচারা লিনাস টরভাল্ডসের ইউনিভার্সিটির প্রজেক্টটার জন্যে সেই কোডের প্রয়োজন ছিলো। যেহেতু ইউনিক্সের সোর্সকোড জানার কোনো উপায়ই ছিলোনা তখন এই আধাপাগল লোকটা নিজের মতকরে একটা অপারেটিং সিস্টেম বানাতে বসে গেলেন! জন্ম হলো লিনাক্সের। নিজের অজান্তেই বানিয়ে ফেললেন দুনিয়া কাঁপানো অপারেটিং সিস্টেম। আরেকটু ক্লিয়ার করে বলি, তিনি মূলত বানিয়েছিলেন লিনাক্স কার্ণেল। যা হচ্ছে একটা অপারেটিং সিস্টেমের মূল অংশ যার কাজ হচ্ছে কম্পিউটার নামক জড়বস্তুটির সাথে অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যারের সংযোগ ঘটানো। আপনি এত হাউকাউ না করে নিচের ছবিটার দিকে তাকান, বুঝতে পারবেন আশাকরি।
কার্ণেল হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে

তিনি লিনাক্স কার্ণেল বানানোর পর সেটাকে ওপেনসোর্স করে দিলেন। যাতে যেকেউ চাইলেই সেই লিনাক্স কার্ণেলকে মোডিফাই করতে পারে নিজেদের প্রয়োজনে (তারজন্যে অবশ্যই প্রোগামিং জানতে হবে, এমনি এমনি না!)। সেই যে খেলা শুরু হলো, আজ অবধি সে খেলা চলছে তো চলছেই! সবাই নিজেদের প্রয়োজনে নিজের মত করে লিনাক্সকে গড়ে নিচ্ছে! ঠিক এই কারণেই ওপেন সোর্সকোড ব্যাপারটা আমার খুবই প্রিয়! এই ওপেনসোর্স শব্দটার পিছনেও আছে লম্বা ইতিহাস! সেই ইতিহাস এখানে বলাটা ভীষন অপ্রাসঙ্গিক একটি ব্যাপার হয়ে যাবে! তাই এড়িয়ে যাচ্ছি, পারলে অন্যকোনো লেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করবো!
যাইহোক, আবারো লিনাক্স কার্ণেল এ ফেরত আসি। লিনাক্স কার্নেলটাকে বেজ হিসেবে ধরে বানানো শুরু হলো নানা রকম অপারেটিং সিস্টেম। এই লিনাক্স বেজড অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে আমরা আদর করে ডাকি "ডিস্ট্রিবিউশন" বা "ডিস্ট্রো"। এখন পর্যন্ত বাজারে প্রায় সাড়ে পাঁচশতেরও বেশি অপারেটিং সিস্টেম আছে লিনাক্সের। যার যেমনটা দরকার সে তেমন করেই বানিয়ে নিয়েছে। যেমনঃ হ্যাকার বা সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা ব্যাবহার করেন "Kali Linux", "Parrot Os", "Black Arch"। আবার শিক্ষার্থীদের জন্যে আছে Edubuntu, Endless OS, বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেন 'Scientific Linux', 'Fedora Scientific' ইঞ্জিনিয়াররা ব্যবহার করেন 'LinuxCNC', 'CAELinux', জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা ব্যবহার করেন 'Bio Linux', 'Poseidon Linux' ইত্যাদি! আর আমার প্রায় পাঁচ বছরের লিনাক্স অভিজ্ঞতায় প্রায় চল্লিশটির মত অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করার সূযোগ হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে লিনাক্স মোটেও কঠিন কিছু নয়। এটি সার্বজনীন!
যেসব কারণে "উইন্ডোজ" ছেড়ে "লিনাক্স" ব্যাবহার করা উচিৎঃ 
  • সিকিউরিটিঃ নাসা, সার্ন, গুগল, ফেসবুক সার্ভার সহ পৃথিবীর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করা হয়। ইন্টারনেট দুনিয়ার প্রায় ৭৭% সার্ভারে লিনাক্স ব্যাবহার করা হয় এর সিকিউরিটি সুনামের কারণে। লিনাক্স সার্ভারে এ্যাটাক করা প্রায় অসম্ভব একটি কাজ হ্যাকারদের জন্যে। একজন সাধারণ ইউজার হিসেবে সার্ভার সিকিউরিটি নিয়ে হয়ত আপনার মাথাব্যথা নাও থাকতে পারে, কিন্তু আপনি যদি পার্সোনাল কম্পিউটারের সিকিউরিটির কথা চিন্তা করেন সেক্ষেত্রেও লিনাক্স সবার আগে। উইন্ডোজ কম্পিউটার এ হরেক রকম এন্টিভাইরাস ইউজ করেন আপনারা ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থেকে বাচার জন্যে। এসব এন্টিভাইরাস কোম্পানি বাজারে তাদের ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে নিজেরাই ভাইরাস আপলোড করে থাকে। অনেক দাম দিয়ে এসব এন্টিভাইরাস কিনতে হয়। সিরিয়াল কী আপডেট করতে হয়। উইন্ডোজ এ যেখানে এত ঝামেলা সেখানে লিনাক্স একদম দুর্ভেদ্য একটা অপারেটিং সিস্টেম। কোনোরকম এন্টিভাইরাস প্রয়োজন নেই। আমি আজ পর্যন্ত কাউকে বলতে শুনিনি যে তার লিনাক্স কম্পিউটার এ ভাইরাস এ্যটাক হয়েছে!
  • দামঃ উইন্ডোজ এর জেনুইন ভার্সন যদি আপনি ব্যাবহার চান তাহলে আপনাকে প্রায় ১০০ থেকে ২৫০ ডলার গুণতে হবে, কিন্তু লিনাক্স আজীবনের জন্য ফ্রি! হ্যা আপনি ঠিকই পড়েছেন! একটি টাকাও খরচ করতে হবেনা আপনাকে।
  • পারফর্মেন্সঃ নতুন কম্পিউটার কিনার দুই তিনমাস পরেই ভীষণ স্লো হয়ে যায় উইন্ডোজ কম্পিউটার। একটা ক্লিক দিয়ে ঘুমিয়ে যাচ্ছেন, ঘুম থেকে উঠে দেখবেন তখনো কাজ হয়নি! মাঝেমধ্যেই আছাড় মেরে ল্যাপটপ ভেঙ্গে ফেলার ইচ্ছে করে হয়ত। বছরের পর বছর লিনাক্স ইউজ করবেন, একটা দিনও স্লো হবেনা! কম্পিউটার বন্ধও করে রাখতে হবেনা। দিনের পর দিন কম্পিউটার চালু রাখতে পারবেন। আমি যখন এই লিখাটা লিখছি তখনো আমার কম্পিউটার একটানা ২২ দিন ধরে চলছে, এরমধ্যে একবারও শাট ডাউন করার দরকার হয়নি। বাইরে যাবার সময় ঘুম পাড়িয়ে রেখে গেছি (মানে স্লিপ মুডের কথা বলছি)
  • আপডেটঃ উইন্ডোজ এর বিরক্তিকর আপডেট এর সম্মুখীন হন নাই এরকম মানুষ হারিকেন দিয়ে খুজেও একটা পাওয়া যাবে বলে আমার মনেহয় না! ভীষণ রকম স্লো আর ল্যাগি আপডেট, সাথে রিস্টার্ট করার প্যারা তো আছেই! রিস্টার্ট করতে গেলেও চার পাচ মিনিট সময় চলে যায়!! জীবনটাই তামাতামা হয়ে যায়! 😀লিনাক্সের যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমে এই আপডেটের কাজটা সেরে ফেলতে পারবেন মাত্র একটা ক্লিক দিয়েই। সেইসাথে ইনস্টল থাকা প্রত্যেকটা অ্যাপ আপডেট হয়ে যাবে কোনো ঝামেলা ছাড়াই। উইন্ডোজের মত শুধুমাত্র সিস্টেম আপডেট হবেনা, খুজে খুজে আলাদাভাবে আর কোনো অ্যাপ আপডেট করতে হবেনা।
    মাত্র এক ক্লিক এ আপডেটের ঝামেলা শেষ!

     
  •  অ্যাপ ইনস্টলেশনঃ উইন্ডোজ এ নতুন কোনো অ্যাপ ইনস্টল করাও ঝামেলা! গুগল থেকে খুজে খুজে ডাউনলোড করো, তারপর ইনস্টল করো, দুদিন যেতে না যেতেই আবার রেজিস্ট্রেশন কী দিতে হবে নাইলে অ্যাপ কাজ করবেনা! মহা মুশকিল! লিনাক্সে এত খোঁজাখুঁজি করতে হবেনা। সফটওয়্যার ম্যানেজারে সার্চ করবেন আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাপ, একটা ক্লিক করবেন, কিচ্ছা খতম! কোনো সিরিয়াল কী, রেজিট্রেশন ফী হ্যানত্যান ঝামেলা নেই! সফটওয়্যার ম্যানেজার জিনিসটা প্লেস্টোরের মত, সার্চ করবেন আর ডাউনলোড করবেন। এই ফাঁকে একটি তথ্য জানিয়ে দেই, আপনার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিও কিন্তু লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম!
    Software Manager/Store
  • প্রাইভেসিঃ উইন্ডোজ আপনার অগোচর আপনার প্রত্যেকটি কর্মকান্ডই নজরদারী করে, আপনার প্রত্যেকটি ডেটা তাদের সার্ভারে জমা হতে থাকে। লিনাক্স আপনার কোনো ডেটাই তাদের সার্ভারে পাঠায়না, যদি প্রয়োজন বশত কোনো ডেটা বা সিস্টেম লগ তারা নিতে চায়, তার আগে অবশ্যই আপনাকে নোটিফাই করবে।
  • ইউজার ইন্টারফেসঃ এবার আসি ইউজার এনভায়রনমেন্ট এর ব্যাপার এ। সারাটা জীবন ধরে উইন্ডোজের চেহারা দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়েছেন? মাঝেমধ্যেই একটু সুন্দর করে সাজাতে চেয়েছেন নিজের কম্পিউটার? কিন্তু কালার ছাড়া আর কোনোকিছু চেঞ্জ করতে পারেননি? তাহলে আপনি চোখ বন্ধ করে লিনাক্স ব্যাবহার শুরু করুন। কালার, ফন্ট, আইকন থেকে শুরু করে কার্ণেল পর্যন্ত চেঞ্জ করতে পারবেন দুই একটা ক্লিক করেই! আমি নিজেই তো Asus ল্যাপটপ এ MacBook এর স্বাদ নিতেছি! ও আচ্ছা! ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমও কিন্তু লিনাক্স কার্নেলেই বানানো! মোদ্দাকথা, আপনি চাইলেই আপনার মনের মাধুরী মিশিয়ে আপনার কম্পিউটার কাস্টমাইজ করতে পারবেন। টাকা দিয়ে কিনেছেন, আপনার কম্পিউটার থাকবে আপনার ইচ্ছামত, তাহলে কেন উইন্ডোজ এর কাছে বন্দী হয়ে থাকবেন? আমার ল্যাপটপের স্ক্রিনশটগুলো দেখুন,ম্যাকবুক ভেবে ভূল করবেন না!

    File Manager
    Application Drawer
    System Info
    System Monitor
  • টার্মিনালঃ আপনি যদি এডভান্স ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে উইন্ডোজ কমান্ড লাইনের সাথে নিশ্চয় পরিচিত। উইন্ডোজ কমান্ড লাইন অথবা পাওয়ারশেল জিনিসটাকে আমার কাছে নিছক খেলনা মনে হয়েছে লিনাক্স টার্মিনালের তুলনায়। টার্মিনাল দিয়ে আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটার কেন মহাকাশ পর্যন্ত কাপিয়ে দিতে পারবেন। আমি একটুও বাড়িয়ে বলছিনা, টার্মিনাল এতটাই শক্তিশালী! 
    Terminal
যাইহোক, উইন্ডোজ এ কুয়োর ব্যাঙ হয়ে না থেকে লিনাক্সে আসুন, কম্পিউটিং বিস্ময়কর জগৎটা দেখুন! তবে আশার কথা হলো, দেরীতে হলেও মাইক্রোসফট এতদিনে বুঝতে শুরু করেছে ওপেন সোর্সের গুরুত্ব, লিনাক্সের গুরুত্ব। এবছরই তারা উইন্ডোজের ভিতরেই লিনাক্স ব্যাবহার করার জন্যে WSL (Windows Subsystem for Linux) রিলিজ করেছে। আগে এই কাজটিই করতে হতো বিভিন্নরকম ভার্চুয়াল মেশিন সফটওয়্যার ব্যাবহার করে। এছাড়াও তারা উইন্ডোজের জন্যে নতুন টার্মিনাল ডেভেলপ করা শুরু করেছে।
New cmd
এতক্ষণ ধরে বকবক করেও আমি শুধুমাত্র লিনাক্সের বাহ্যিক দিকটাই একটুখানি তুলে ধরেছি। ভেতরের কথাবার্তা নিয়ে, একজন বিগিনার হিসেবে লিনাক্সের কোন অপারেটিং সিস্টেম টি ব্যাবহার করতে পারেন, কিভাবে ইনস্টল করবেন, সেসব বিস্তারিত লিখবো অন্য একটি লিখায়। ভালো থাকুন। Happy Computing!


আপনাকে মুখ ফুটে বলতে হবে না কিছুই। আপনার চিন্তা আরেকজনের মস্তিষ্কে ধরা পড়বে। মস্তিষ্কের সঙ্গে মস্তিষ্কের এ যোগাযোগ টেলিপ্যাথি বলে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকেরা বলছেন, কারও মনের কথা পড়ার বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য হতে পারে। তাঁরা এমন এক সিস্টেম বা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যাতে দুই মস্তিষ্কের ভেতর চিন্তাভাবনা বিনিময় করা যাবে। এ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে ব্রেইন নেট।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেটসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গবেষকেরা অবশ্য অনেক দিন ধরেই ব্রেইন নেট উদ্ভাবনে কাজ করছেন। এর আগে ২০১৫ সালে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা একটি গিয়ার তৈরি করেছিলেন, যাকে ব্রেইন নেটের প্রাথমিক পর্যায় বলা যায়। ওই পদ্ধতিতে দুই ব্যক্তির মধ্যে ব্রেইন টু ব্রেইন ইন্টারফেসের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব হতো। এ পদ্ধতির উন্নয়নের ফলে এখন ব্রেইন নেট ব্যবহার করে তিনজন ব্রেইন-টু-ব্রেইন নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারেন।
সম্প্রতি ব্রেইন নেট ব্যবহারকারীদের নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। এতে মস্তিষ্কের ভাবনা কাজে লাগিয়ে টেটরিসের মতো গেম খেলেছেন অংশগ্রহণকারীরা। এ নেটওয়ার্কে ইলেকট্রো এনসেফলোগ্রামের সমন্বয় করা হয়, যাতে ইলেকট্রিক্যাল কার্যক্রম রেকর্ড করা হয় এবং ট্রান্সক্রানিয়াল চুম্বকীয় উদ্দীপনার তথ্য পাঠায়।
তবে ব্রেইন নেটের সঙ্গে টেলিপ্যাথির পার্থক্য রয়েছে। টেলিপ্যাথিতে কোনো বাহ্যিক উপাদান লাগে না। কিন্তু ব্রেইন নেটের ক্ষেত্রে বাইরের হস্তক্ষেপ লাগে। এটি একবারে এক বিট তথ্য পাঠাতে হবে। তবে এর আরও উন্নতি করা গেলে একদল মানুষের মধ্যে জটিল ভাবনা পাঠানো যাবে।
এর আগে ২০১৫ সালে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা শিগগিরই তাঁদের চিন্তাভাবনা বন্ধুদের সঙ্গে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন বলেই মন্তব্য করেছিলেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। তিনি তখন বলেন, যদিও বিষয়টি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির ছবির মতো শোনায়, তবে তা বাস্তব হতে চলেছে।
জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, একদিন আমাদের সব চিন্তাভাবনা প্রযুক্তির সাহায্যে একে অন্যের কাছে সরাসরি স্থানান্তর করতে পারব। কেউ কোনো কিছু চিন্তা করে সেটি শেয়ার করতে চাইলে তাঁর বন্ধুরা সে চিন্তাটির তৎক্ষণাৎ অভিজ্ঞতা লাভ করবে। ভবিষ্যতের যোগাযোগ পদ্ধতি এ রকমই হবে।’

বিগত কয়েকদিন থেকে আবারো আলোচনায় উঠে এসেছে 'রোহিঙ্গা ইস্যুটি '। সধারনত ফেসবুকে লেখালেখি করিনা। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশি মুসলিম রোহিঙ্গাদের করুন আর্তনাদ,আমার বিবেককে নাড়া দিচ্ছে বারবার। তাই না লিখে পারলাম না।

যে বৌদ্ধরা বিশ্বশান্তির কথা বলে,জীব হত্যাকে মহাপাপ বলে গন্য করে, তারাই মায়ানমারে মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর বর্বরতম অত্যাচার করছে। যাকে আমারা এতদিন গণতন্ত্রের মানসকন্যা হিসাবে জানতাম সেই অং সান সুচি ও আজ ক্ষমতার লোভে মত্ত হয়ে নিশ্চুপ রয়েছেন। বিগত সাত মাস ধরে তার দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ক্ষমতাসীন। সারা পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষ আশায় বুক বেধেছিল এবার হয়তো মায়ানমারে সুষ্ঠ গণতন্ত্র ফিরে আসবে, বন্ধ হবে মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন। কিন্তু শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সুচিও এবার নিশ্চুপ,তাহলে এটা বুঝতে কারো বাকি থাকে না যে, তিনি ও তার দলও চায় মুসলিমদের সে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে।
লক্ষ লক্ষ অসহায় মানুষ আজ গৃহহীন, সামান্যতম মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত।গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে ন্যাড়া বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা, তাদের সাথে যোগ দিয়েছে সে দেশের কাপুরুষ সামরিক বাহিনী। নিরীহ মুসলিম শিশু ও ধর্ষিত মা বোনদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে আরাকানের আকাশ বাতাস। আমাদের মুসলিম ভাইদের তাজা রক্তে লাল হয়ে উঠেছে আরাকান ভূখন্ড। পালোনোর সময় পর্যন্ত পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে তাদের। এই আশ্রয়হীন অসহায় মানুষগুলো যখন মাছ ধরা ট্রলারে করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে যাচ্ছে, তখনও তাদের পুশব্যাক বা ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তাহলে কি তারা সাগরে ডুবে মরবে! অনাহারে, অনিশ্চয়তায়, অনিদ্রায় উত্তাল সমুদ্রের মাঝে ভেসে বেরাচ্ছে আমাদের মজলুম মুসলিম ভাইয়েরা।
এটাই কী তথাকথিত বিশ্ববিবেক??? সারা পৃথিবির বিশ্ব নেতারা মুখে কুলুপ এটেছেন,যেন কিছুই জানেন না। জাতিসংঘসহ অন্যান্য মোড়ল প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রতিবাদ জানিয়েই নিজেদের দায় সারছে। কিন্তু কেন?


মুসলিম বলেই কি তাদের ক্ষেত্রে 'মানবাধিকার ' শব্দটি অভিধানে পাওয়া যাচ্ছে না? তাহলে ধিক্কার জানাই সে সকল মেকি মোড়লদের। সারা পৃথিবীর তাগুদ শক্তি ও কিছু সংখ্যক বেহায়া মিডিয়া মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিশ্ববাসীকে ভুল ধারনা দিয়ে যাচ্ছে। পুঁজিবাদিদের পথের প্রধান বাধা যেন মুসলিমরাই । এই সমস্যা সমাধান মুসলিমদের নিজেদেরই করতে হবে। তা না হলে হয়ত কোন একদিন আমাদের মাতৃভুমিও এই নরপশুদের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
মূলকথায় ফেরা যাক,বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিষ্পাপ শিশু, ধর্ষিত মা বোন সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ করে বলছে, "হে প্রভু, আপনি আমাদের এই জালিম অধ্যূষিত জনপদ হতে উদ্ধার করুন। আমাদের জন্য ত্রানকর্তা বা সাহায্যকারী প্রেরণ করুন"। কিন্তু দু:খের বিষয় ১৫০ কোটি মুসলমানের কর্ণকুহরে তাদের আর্তনাদ হয়ত যাচ্ছেনা। আমরা আজ আমাদের দায়িত্ববোধ ভুলতে বসেছি।
কিন্তু কিছুটা আশার বিষয় হলো বিগত সময়ে আমাদের বাংলাদেশ সরকার অসংখ্য রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল ও ছোটদেশ, আমাদের সামর্থ্য হয়ত কম। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী হিসাবে হলেও আমাদের ভূখন্ডে তাদের সাময়িক আশ্রয় দেয়া উচিত। তাদের বিপদের সময় আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিনীত আবেদন যে,মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানো, পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরনার্থীদের দ্বিতীয় বারের মত সাময়িক আশ্রয় দিয়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসাবে উপস্থাপন করা এবং কূটনৈতিক ভাবে মায়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করা।
বাংলাদেশের মানুষ ও সরকার কতটা মানবিক তা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেওয়ার সময় এখনই।
পরিশেষে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা, আপনি অত্যাচারিত মুসলিমদের উপর সাহায্য বর্ষন করুন এবং উগ্র ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা থেকে বিশ্বকে নিরাপদ রাখুন।

শেখ শোভন , ছাত্র;
আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।



Penny wise, Pound foolish
-বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো
ছোটবেলায় পড়ে আসা প্রবাদবাক্যটা মনে পড়ে গেলো। কেন হঠাৎ এই প্রবাদ মনে পড়লো? বর্তমানের অবস্থাটাই প্রবাদতুল্য হয়ে গেছে। তবে এই প্রবাদ মনে পড়ার পেছনে  কারণটা হচ্ছে, কিছুদিন আগে আমাদের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, ধুমপায়ী বা মাদকাসক্ত কোন শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবেনা।
হ্যা খুবই ভালো কথা। অনেকেই চোখ বন্ধ করে সাধুবাদ জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তে। আমিও জানিয়েছি। দেখেছি কেউ কেউ আবার চোখ বন্ধ করতে গিয়ে গাল, মুখ-মন্ডল, কপালের চামড়া কুঁচকে ফেলেছেন। যাইহোক, কে চোখ বন্ধ করলো আর কে করলোনা সেটা নিয়ে ফ্যাচফ্যাচ করে লাভ নেই। বরং প্রসঙ্গে আসা যাক,
মানবীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে শুরুতেই একটা প্রশ্ন মাথায় চলে আসে, সেটা হলো এই নিয়মটা কতটুকু কার্যকর হবে? নাকি আদৌ হবেইনা?
আপনি হয়ত আমার এই ধরনের কথায় ক্ষেপে যেতে পারেন যে, বলে কি এই বদ ছেলে? কত সুন্দর নিয়ম! কেন কার্যকর হপেনা?
তো মশাই আপনাকেই বলি, আপনি জানেন কি? মন্ত্রীমশাই কি বলেছেন? উনি বলেছেন যে, পরীক্ষায় পাশের পর মেডিকেলে  ভর্তির জন্যে অধুমপায়ী সার্টিফিকেট একজন ডাক্তারের কাছে সত্যায়িত করে নিয়ে জমা দিতে হবে। মোদ্দাকথা, শিক্ষার্থী যে ধুমপায়ী বা মাদকাসক্ত নয় তার সত্যায়িত সার্টিফিকেট জমা দিতেই হবে। নতুবা ভর্তি হতে পারবেনা।
হ্যা। এটি নিঃসন্দেহে মহৎ সিদ্ধান্ত। কেননা যে কিনা নিজেই শরীরে নিকোটিন বয়ে নিয়ে বেড়ায় সে অন্যকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার অধিকার রাখেনা।
এবার আপনি বলবেন যে ঠিকই তো আছে, এত চুলকানোর দরকার কি?
কিন্তু আমি বলি চুলকানীর দরকার আছে। কারণ, মাত্র ২০০ বা ৩০০ টাকায় ওরকম সত্যায়িত করা সার্টিফিকেট আমাদের এই বঙ্গদেশে কেজিদরে পাওয়া যায়। এটা খুব দুরুহ কোন কাজ নয়।
দেখবেন আগামী শিক্ষাবর্ষে যারা চান্স পাবে মেডিকেলে তারা সবাই হাতে একখানা সত্যায়িত সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হবে ভর্তি হবার জন্যে। তারমানে কি ওদের মধ্যে কেউ মাদকাসক্ত বা ধুমপায়ী থাকবেনা? থাকবে, ঢের থাকবে। কিন্তু আপনি কিচ্ছুটি টের পাবেননা। পেলেও কিছু বলতে পারবেননা। হাতে ওদের সার্টিফিকেট আছেনা! তাও আবার সত্যায়িত!
কাজেই দেখা যাচ্ছে এই নিয়মের মধ্যে ফাক রয়ে গেছে। আশা করি এই ফাক সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিগণ অতি শীঘ্রই বন্ধ করে ফেলবেন। ধুমপায়ী শনাক্তকরণের জন্যে সত্যায়িত সার্টিফিকেট পদ্ধতির চেয়ে যদি ভর্তির সময় শিক্ষার্থীকে ওখানেই তৎক্ষণাৎ চেকআপ করা হয় তাহলে আর কেউ ফাকি দিতে পারবেনা। হ্যা এতে সময় একটু বেশি লাগবে। লাগুকনা! যে মহৎ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে সেটিতো যথাযথ কার্যকর হবে।
আর কোন শিক্ষার্থী ভর্তির পর মাদকাসক্ত হলো কিনা? সিগারেট পান করলো কিনা সেটা তদারকির জন্যে নির্দিষ্ট কয়েকদিন পরপর চেকআপ করতে হবে। আমি মনে করি তবেই যথাযথ হবে এই সিদ্ধান্ত।
মাদকের ভয়াল থাবার হাত থেকে বেচে যাবে আমাদের এই মেধাবী প্রজন্মের সিংহভাগ শিক্ষার্থী।
এবার শুধু মেডিকেলের জন্যে এই নিয়ম। আশাকরি পরবর্তীতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর করা হবে।
তারপর নাহয় কলেজগুলোর দিকেও নজর দেয়া যাবে। কি বলেন?


এটা আমার প্রথম ব্লগ পোষ্ট। তাই কিছু ফাও প্যাঁচাল পেড়ে নেই। দু একটি কথা বলি।
মানুষের কিছু ইচ্ছা থাকে যা সে মনেপ্রাণে পুরন করতে চায়। আমারও সেরকম ইচ্ছা আছে, সেটা আর যাই হোক ব্লগার হওয়া নয়। তাহলে কেন ব্লগিং শুরু করলাম? বলতে পারেন একরকম শখের বশেই ব্লগিং এ নাম লেখানো। কিন্তু আমিযে আমড়া কাঠের ঢেঁকি, আমার দ্বারা সন্তোষজনকভাবে আজ পর্যন্ত কিচ্ছু হয়নি, হবেওনা বোধহয়। সেটা ব্লগিং ই হোক আর যাইই হোক, আমার দ্বারা অকাজ ছাড়া আর কিছু হয়নি।
তবে হঠাৎ এই অদ্ভুত শখ চাপার পেছনেও একটুখানি কারণ রয়েছে। সেটা হচ্ছে প্রান খুলে কিছু বলতে পারা যায় ব্লগে। সমাজের নানা সঙ্গতি-অসঙ্গতি, যেগুলো সইতেও পারা যায়না, কিছু কইতেও পারা যায়না, সেই বিষয়গুলো নিয়ে  ব্লগে ইচ্ছামত অভিমত পোষণ করা যায়। কেউ কিচ্ছু বলবেনা।
হয়ত, এখনো অতবড় মাপের মানুষ হতে পারিনি, সমাজ বা দেশের জন্যে তো কিছু করতেও পারিনি। তবে ভাবনা অনেক আছে ছোট্ট এই গোলমেলে মাথায়। স্বপ্ন আছে আকাশছোঁয়া। কিন্তু সেগুলো ভেতরেই বন্দী রয়ে গেলো। আমার এই সুন্দর দেশটাকে নিয়ে, আমার চারপাশ ঘিরে থাকা সমাজটা নিয়ে, কি সব ভাবনাগুলো উকি দিচ্ছে মাথায় সেগুলোই শেয়ার করবো এখানে। আমি যদি কিছু নাও করতে পারি, হয়ত আমার ভাবনা দেখে আরেকজন বাস্তবায়ন করে ফেলবে। তাতেই বা কম কিসে?
আমি মুসলিম, আমি আল্লাহতে বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি সুদিন আসবেই আমাদের এই বাংলাতে। সত্যিকার সোনার বাংলা হয়ে উঠবে আমাদের হাত ধরেই। আল্লাহই আমাদের সাহায্য করবেন।
কিন্তু কাজগুলো করতে হবে নিজেকেই। দিন বদলের গানটা গাইতে হবে নিজ নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে। সবাই যদি নিজের গন্ডিটা বদলাতে পারি তাহলে তো দেশ বদলাতে বাধ্য।
কিন্তু হচ্ছেনা কেন? ওইযে! ব্যাপারটা এরকম যে, বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে? বড় বড় বুলি তো বাপু সবাই আওড়ায়। করে দেখাতে পারে কয়জনে?
আমরা নতুন প্রজন্ম, বুলি আওড়ানোতে বিশ্বাসী নই, কিছু একটা করে দেখানোয় বিশ্বাসী।
তো এত ফ্যাচফ্যাচ করে কি লাভ বলো? তারচেয়ে শুরুটা বরং করেই ফেলি।
চলোনা "বিন্দু থেকে বৃত্ত গড়ার স্বপ্নটা দেখেই ফেলি"

Author Name

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.